পূর্ব-আষাঢ়/লক্ষীন্দর বাউরী
তোমার জন্য চিহ্ন রইল, সাংকেতিক
পূর্ব আষাঢ়, ধুইয়ে দিতে পারেই শোক।
জানোই এখন ব্যস্ত ভীষণ সব ক্ষেতই
মেঘের কথায় ফসল তবে তৈরী হোক।
জানি তোমার ঘুম পায় না,রোদের তেজ
নিচ্ছে শুষে, নাব্য যত গল্পকে।
মন্দ হাওয়ার কল্পলোকে পদ্য-মেঘ
তোমার চোখে সাজিয়ে দিচ্ছে,এক ছকে।
না হয় সাজুক,আর বুঝে নাও সময়ক্রম
সকাল-দুপুর,রাত বিরেতের সংযমে
বিশ্বাস কী? যায় না বলা ছন্দভ্রম
কখন আমায় জাগায় - তোমার ক্রন্দনে।



চোখের জলে তৈরি আয়না
*************
এভাবে মন্থরগতিতে চলা জীবন আলোচ্যবিষয় নয়,
এভাবে ভাবনার ঘরে আড়ি!  না,অবশ্যই নয়
প্রান্তিক মানুষটি যখন শ্রান্ত ; পথের একপাশে
যখন সূর্য করুণমুখে ডানা ঝাপটায়
যখন অবিকল মুখস্ত বলে তোমার আমার শরীর

পীতাম্বরী,নীলাম্বরী ঘুড়িগুলি চৌকাঠে হানা দিলে
তুমি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হও
আমার ডানাগুলো ছেঁটে দাও,পালকে বাঁধন দাও
সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে আমাকে মন্থর করে দাও

অট্টহাস্যে দিগ্বিদিক জ্ঞানশুণ্য হয়ে ভৈরবী ধরি
তুমি আগাপাছতলা শরমে মড়ে যাও---

তুমি জানো,আমি তোমার পোষা মন্থর নারী
সভাস্থলে কাপড় খুলে বেহায়া সাজি কী ভাবে?

তোমার গোটা শরীরে লেখা আছে এ সবের উত্তর
তুমি খুঁজে দেখো, নিজেকেও উলঙ্গ দেখবে।।

শিশির দাশগুপ্ত